তথ্য অধিকার আইন

নবম-দশম শ্রেণি (দাখিল) - পৌরনীতি ও নাগরিকতা - নাগরিক ও নাগরিকতা | NCTB BOOK
792

জনগণের মৌলিক অধিকার রক্ষার ক্ষেত্রে তথ্য অধিকার আইন একটি যুগান্তকারী আইন। তথ্যের অবাধ প্রবাহ এবং জনগণের তথ্য অধিকার নিশ্চিতকরণের জন্য জাতীয় সংসদে ৩০ মার্চ ২০০৯ তারিখে এ সংক্রান্ত একটি বিল অনুমোদন করে। এরপর ৫ এপ্রিল ২০০৯ তারিখে তথ্য অধিকার আইন রাষ্ট্রপতির সম্মতি লাভ করে। জনগণের শাসন প্রতিষ্ঠায় তথ্য অধিকার আইন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাই এই আইনটি সকল নাগরিকের জানা একান্ত প্রয়োজন ।
‘তথ্য’ হচ্ছে কোনো কর্তৃপক্ষের গঠন, কাঠামো ও দাপ্তরিক কর্মকাণ্ড-সংক্রান্ত যেকোনো স্মারক, বই, নকশা, মানচিত্র, চুক্তি, তথ্য-উপাত্ত, লগ বহি, আদেশ, বিজ্ঞপ্তি, দলিল, নমুনা, পত্র, প্রতিবেদন, হিসাব বিবরণী, প্রকল্প প্রস্তাব, আলোকচিত্র, অডিও, ভিডিও, অঙ্কিত চিত্র, ফিল্ম, ইলেকট্রনিক প্রক্রিয়ায় প্রস্তুতকৃত যেকোনো ইনস্ট্রুমেন্ট, যান্ত্রিকভাবে পাঠযোগ্য দলিলাদি এবং ভৌতিক গঠন ও বৈশিষ্ট্য নির্বিশেষে অন্য যেকোনো তথ্যবহুল বস্তু বা এর প্রতিলিপি । তবে শর্ত থাকে যে দাপ্তরিক নোট শিট বা নোট শিটের প্রতিলিপি এর অন্তর্ভুক্ত হবে না ।
‘তথ্য অধিকার’ অর্থ কোনো কর্তৃপক্ষের নিকট থেকে তথ্য প্রাপ্তির অধিকার । আইনের বিধানাবলি সাপেক্ষে কর্তৃপক্ষের নিকট হতে প্রত্যেক নাগরিকের তথ্য লাভের অধিকার থাকবে এবং কোনো নাগরিকের অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ তথ্য সরবরাহ করতে বাধ্য থাকবে। তথ্য অধিকার নিশ্চিত করার লক্ষ্যে প্রত্যেক কর্তৃপক্ষ যাবতীয় তথ্যের তালিকা এবং সূচি প্রস্তুত করে যাথাযথভাবে সংরক্ষণ করে রাখবে ।

Promotion
NEW SATT AI এখন আপনাকে সাহায্য করতে পারে।

Are you sure to start over?

Loading...